ইসলাম ডেস্ক:
জুমাবার হলো সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। বিশেষ এই দিনে বান্দার জন্য রয়েছে অশেষ ফজিলত। পবিত্র কুরআনে জুমা নামে একটি সুরাও রয়েছে। যেখানে মহান এই দিনের অশেষ ফজিলতের বর্ণনা রয়েছে। অন্যদিকে, জুমা আদায়কে ফরজ করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা বিনা ওজরে (কোনো কারণ ছাড়া) ও ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)।
পবিত্র জুমার দিনে পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার কথা এসেছে হাদিসে। খোদ রাসুল (সা.)- ও পায়ে হেঁটে জুমার নামাজে যেতেন। সালামা ইবনু আকওয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, সূর্য মধ্যাকাশ থেকে ঢলে যাওয়ার পর আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে জুমার সালাত আদায় করতাম। এরপর ছায়ায় ছায়ায় হেঁটে প্রত্যাবর্তন করতাম। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৮৬৫)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত অপর হাদিসে এসেছে, আমি রাসুল (সা.)- কে বলতে শুনেছি, যখন সালাত (নামাজ) শুরু হয়, তখন দৌড়ে গিয়ে সালাতে যোগদান করবে না, বরং হেঁটে গিয়ে সালাতে যোগদান করবে। সালাতে ধীরস্থিরভাবে যাওয়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য। কাজেই জামাতের সঙ্গে সালাত যতটুকু পাও আদায় কর, আর যা ফাওত (বাদ যাওয়া বা ছাড়া যাওয়া) হয়ে গেছে, পরে তা পুরো করে নাও। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮৬২)
এছাড়াও আবায়া ইবনু রিফা’আ (রহ.) বর্ণনা করেন, আমি জুমার সালাতে যাওয়ার সময় আবু আব্স (রা.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যার দু’পা আল্লাহর পথে ধূলি ধূসরিত হয়, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮৬১)
Leave a Reply